ঢাকা , সোমবার, ০৭ এপ্রিল ২০২৫ , ২৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
এপ্রিলে এলপিজির দাম অপরিবর্তিত থাকছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ৬ লেনের দাবি মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি চলছে পুরোদমে ডেঙ্গুর তীব্র ঢেউয়ের শঙ্কাতেও প্রতিরোধ প্রস্তুতিতে নজর নেই ঈদ উপলক্ষে অর্ধেকের বেশি গার্মেন্ট কারখানা এখনও বন্ধ এবার বায়ুদূষণে শীর্ষে কাঠমান্ডু স্থানীয় সরকার সচিবকে জনপ্রশাসনে সংযুক্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে উত্তাল ঢাকা স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমিকের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে স্বামীর সংবাদ সম্মেলন সাটুরিয়ার বালিয়াটি জমিদার বাড়ি দেখতে উপচেপড়া ভিড়, রাজস্ব আয় ৫ লাখ চাটমোহরের হান্ডিয়ালে জমি জবরদখলের অভিযোগ বরিশালে কল্যাণ কেন্দ্রের কল্যাণে জন্ম নিয়েছে ১১৩ নবজাতক কিশোরগঞ্জের হাওরে ধান কাটা শুরু বাংলাদেশসহ ১৩ দেশের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা সৌদির ভূমিকম্পকে ব্যবহার করে মিয়ানমার জান্তার ত্রাণ নিয়ে কারসাজি যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাম্পবিরোধী সর্ববৃহৎ সমাবেশ শুল্ক ঘোষণার পর জেপি মরগানের পূর্বাভাস ভারতে ৭০ বাংলাদেশি পর্যটক নিয়ে বাস উল্টে নিহত ১ রাফাহ শহরকে গাজা থেকে বিচ্ছিন্ন করল ইসরাইল ব্যাটারের কাছাকাছি উদ্যাপনে পাওয়া শাস্তির ডাবল পেলেন দূরে করে

বাজেট পেশের আগে পরিস্থিতি আরও জটিল এবার

  • আপলোড সময় : ২৮-০৫-২০২৪ ০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৮-০৫-২০২৪ ০৮:০০:৫৪ অপরাহ্ন
বাজেট পেশের আগে পরিস্থিতি আরও জটিল এবার
হাসান মামুন
৬ জুন নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করা হবেএর রূপরেখা সম্পর্কেও মিলেছে ধারণাবাজেট প্রত্যাশামতো অনেক কম হারে বাড়ছে এবারতবে রাজস্ব ব্যয় কম বাড়ছে নাউন্নয়ন ব্যয় (এডিপি) বাড়ছে খুবই কমসতর্কতার সঙ্গেপ্রকল্প গ্রহণের কথা বলা হয়েছেএতে স্বীকৃতি রয়েছে- কাজটা এতদিন যথেষ্ট সতর্কভাবে করা হয়নিছোট বাজেটই যেহেতু নেয়া হচ্ছে, তাই উচিত নয় কি রাজস্ব ব্যয়টাও, বিশেষত পরিচালন ব্যয় বেশি বাড়তে না দেয়া? তবে খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারের পদক্ষেপ থাকছেএ খাতে ব্যয় বাড়বেউচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতে সেটাই স্বাভাবিকচলতি বাজেটে মূল্যস্ফীতির যে লক্ষ্যমাত্রা ছিল, পরিস্থিতি তার ধারে কাছেও নেইবিশেষত উন্নয়ন সহযোগীরা যা বলছে, তাতে ধরে নেয়া যায়- এটা আরও বাড়তে পারেমূল্যস্ফীতি অবশ্য কমে আসবে একটা সময়েতবে সহসা কমার কারণ নেই
সাম্প্রতিককালে সুদ ও মুদ্রার বিনিময় হার বিষয়ে যে পদক্ষেপ নেয়া হলো, তাতেও মনে করা হচ্ছে- মূল্যস্ফীতি কমবে নাএ অবস্থায় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা সাড়ে ছয় শতাংশ করা হবে বলে জানা গেলসেটা অনার্জিত হলে পরে সংশোধন করা হবে, যেমনটা করতে হয়েছে এবারওচলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধিও লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবে নাসরকারও এটা স্বীকার করছেবেসরকারি বিনিয়োগ একটা জায়গায় আটকে ছিল
এ ক্ষেত্রে দেখা দিচ্ছে কমার প্রবণতাওশুধু সরকারি বিনিয়োগের ওপর তো প্রবৃদ্ধি বাড়ানো যায় নাসরকারি বিনিয়োগের মান নিয়ে সমালোচনাও কমছে নাএতে মানসম্মত আর টেকসই কাজের সুযোগ সৃষ্টি হয় নানির্মাণসামগ্রীর ব্যবসা অবশ্য বাড়েওইসব খাত চাঙ্গা হয়তা সত্ত্বেও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি যে খারাপ, সেটা অনস্বীকার্যবিশ্বব্যাংক বলছে- এটা বেশ খারাপবিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান পরিস্থিতি খারাপ এবং তার মধ্যে মূল্যস্ফীতি, বিশেষত খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি থাকলে তা উদ্বেগজনক বৈকিএমন একটা অবস্থায় যে বাজেট পেশ হতে যাচ্ছে, তাতে স্বভাবতই মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনার প্রত্যয় ঘোষিত হবে
বলা হবে- সরকার এমন কিছু করবে, যাতে মূল্যস্ফীতি কমে আসে এবং কাজের সুযোগ বাড়েঅনেকদিন ধরেই মূল্যস্ফীতির চেয়ে মজুরি বৃদ্ধির হার কমমূল্যস্ফীতির চেয়ে বেশি হারে আয় বাড়াতে সক্ষম মানুষ তো বেশি নেই দেশেতারাই কেবল বলবে- পরিস্থিতি খারাপ নয়! তবে এ জনগোষ্ঠীর মধ্যে যারা উদ্যোক্তা, তারা কিন্তু টের পাচ্ছেন, পরিস্থিতি আসলে কেমনদীর্ঘদিন ঋণের সুদের হার কম তথা নির্দিষ্ট সীমায় থাকায় তারা অবশ্য সুবিধা পেয়েছেনতখন বিদেশ থেকেও ঋণ নিতে পেরেছেন কম সুদেদেশে ডলারের দামটাও আটকে রাখা হয়েছিলপরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতেও সরকার এসব নীতি নিয়েই চলতে চেয়েছেতাতে অর্থনীতিতে সংকট ঘনীভূত হয়ে উঠলেও সুবিধা পেয়েছে একটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়তবে সে পরিস্থিতি এখন আর নেই
সুদের হারকে করা হয়েছে কমবেশি বাজারভিত্তিকডলারের আনুষ্ঠানিক দামও এখন বাজার দরের কাছাকাছিসুদের হার সেভাবে আর না বাড়লেও ডলারের দাম আরও বাড়বে বলেই মনে হচ্ছেএ অবস্থায় ব্যবসা পরিচালন ব্যয় বাড়বেচলমান মূল্যস্ফীতিতে তাদের ওপর মজুরি বৃদ্ধির চাপও বাড়ার কথাআন্দোলনের মুখে চা বাগানে মজুরি কিছুটা বাড়ানোর পর গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরিও বাড়াতে হয়েছেঅন্যান্য আনুষ্ঠানিক খাতেও মজুরি বাড়ানোর দাবি সম্ভবত জোরদার হবেসরকারকেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে এ প্রশ্নেএরই মধ্যে নগরীতে অটোরিকশা চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা আবার প্রত্যাহার করতে হয়েছে সরকারকে
এসব সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নেয়া যুক্তিসঙ্গতহলেও তার বাস্তবতা এখন নেইসরকার মেয়াদের শুরুতেই সাধারণত অপ্রিয় সংস্কার সেরে ফেলতে চায়এ ফর্মুলাও এখন প্রয়োগ করা যাচ্ছে নাকারণ কোভিড উত্তরণের পর থেকেই মূল্যস্ফীতি বাড়ছেআর মাসের পর মাস এটা থাকছে ১০ শতাংশের কাছাকাছিএমন মূল্যস্ফীতি সামলাতে না পারার দায় স্বভাবতই বর্তাচ্ছে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা সরকারের ওপরআসছে বাজেটে যেমন, নতুন মেয়াদ শুরুর সময়েও সরকারকে তাই বলতে হয়েছে, মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনাটাই প্রধান লক্ষ্যঅর্থনীতি ব্যাপকভাবে আমদানিনির্ভর হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিক পণ্যবাজার দীর্ঘদিন বিরূপ থাকায় মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনা যায়নিএ কথায় সাধারণভাবে যুক্তি আছেতবে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যসামগ্রীর দাম কমে এলেও কেন দেশে পরিস্থিতির উন্নতি হলো না, তার সদুত্তর নেইসময়ে সময়ে কর-শুল্ক ছাড় দিয়ে দাম সহনীয় করার উদ্যোগ নেয়া হলেও সেটাও প্রত্যাশিত সুফল দেয়নিসরকারের পক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্তরা এটা স্বীকার করে তখন দায় চাপিয়েছেন সিন্ডিকেটেরওপরএতে আবার প্রশ্ন উঠেছে, বাজারে সিন্ডিকেট থাকলেও সেটা কি সরকারের চেয়ে শক্তিশালী? এ অবস্থায় আমরা দেখতে চাইব, পণ্যবাজার শান্ত করে আনতে কর-শুল্ক যৌক্তিকীকরণসহ নতুন কী পদক্ষেপ নেয় সরকারবাজারভিত্তিক পদ্ধতিতে যাওয়ার সময়টায় ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী বলেও আমদানিতে খরচ কমানোর দাবি এখন জোরদারডলারের দাম বেড়ে আমদানি আরও ব্যয়বহুল হওয়ায় নির্ধারিত শুল্ক হারেও আগের চেয়ে বেশি রাজস্ব অবশ্য পাবে সরকারএ প্রশ্নও অনেকদিন ধরে আছে যে, সরকার রাজস্ব আহরণে আর কতদিন আমদানি খাতের ওপর নির্ভরশীল থাকবে? তাকে কি প্রত্যক্ষ কর (আয়কর) বাড়ানোর দিকে যেতে হবে না? মফস্বলেও আয়কর দিতে সক্ষম একটা জনগোষ্ঠী রয়ে গেছে করজালের বাইরেঅর্থনীতিবিদ ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ৮০ শতাংশ বিত্তবান কর ফাঁকি দিচ্ছেবলা বাহুল্য, তাদের ছাই দিয়ে ধরা হচ্ছে নাসামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে ভাতার পরিমাণ ও গ্রহীতা বাড়াতে হবেঅন্যদিকে আবার বাড়াতে হবে আয়করদাতা
এটা বাড়তে থাকা আয় বৈষম্য কমিয়ে আনারও কার্যকর হাতিয়ার হতে পারেএমনটা করা গেলে ভ্যাটের ওপর নির্ভরতাও কমিয়ে আনা যাবেভ্যাট সর্বসাধারণের ওপর একইভাবে প্রয়োগ হয় বলে এটা বিশেষত মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতিতে গরিবের জন্য হয়ে ওঠে পীড়াদায়কউদাহরণস্বরূপ, প্যাথলজিক্যাল টেস্টেও আরোপিত আছে ভ্যাটএদিকে আমদানিনির্ভর সব খাদ্যপণ্যে আছে উচ্চ কর-শুল্ক, যা সবার ওপর সমভাবে প্রযোজ্যএক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারীকে অবশ্য ভর্তুকি দামে এর কিছু জোগানো হচ্ছেকিন্তু সেটা পর্যাপ্ত নয়তাদের যেতেই হচ্ছে তপ্ত হয়ে থাকা পণ্যবাজারেবাজেটে অবশ্য এ খাতে আরও জোর দেয়া হবে বলে জানা যাচ্ছেখাদ্যশস্য আমদানির জন্য বাড়ানো হচ্ছে বরাদ্দতাপপ্রবাহসহ প্রতিকূল আবহাওয়ায় বোরো মার খেতে পারে বলেও এমন সতর্কতাযেসব তথ্য-উপাত্তের ওপর বাজেট প্রণয়নসহ সরকার গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতাও এখন আরও প্রশ্নবিদ্ধসরকারের ভেতরেই এ নিয়ে সময়ে সময়ে উঠছে প্রশ্নতাতে সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়ে (যেমন আমদানি) পরিস্থিতি সামলানোর সুযোগ যাচ্ছে কমেবলতে যতই ভালো লাগুক- আমরা খাদ্যে মোটেও স্বয়ংসম্পূর্ণ নইজরুরি সব খাদ্যপণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়াটাও অসম্ভবযেমন, গমে আমদানিনির্ভরতা আরও বেড়েছেচিনি উৎপাদন আরও কমেছে দেশেএর প্রধান কারণ, কম বয়ে উৎপাদন করতে আমরা পারছি নাউৎপাদন ব্যয় বাড়ার যুক্তিতে ওষুধের দামও দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছেএসব খাতে পরিবহন ব্যয়ও বেশি, কেননা ডিজেলের দাম অনেক বেড়েছেএটা আবার এখন বাজারভিত্তিক
সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎ খাত থেকেও ভর্তুকি প্রত্যাহার করছে ক্রমেতাতে এগুলোর দাম বাড়ার কারণেও পণ্য উৎপাদন ব্যয় বাড়ছেসুদের হার বাড়িয়ে বাজারে অর্থ সরবরাহ কমিয়ে এ ধারার মূল্যস্ফীতি কমানো যাবে কীভাবে? পর্যাপ্ত গ্যাস না থাকায় সরকার সিংহভাগ সার কারখানাও চালু রাখতে পারছে নাএর প্রভাব কি থাকবে না সংকটকালেও ভালো পারফর্ম করা কৃষিতে? অন্তত থাকবে অনিশ্চয়তা! অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তার চাপ বড় ঘটনা বৈকিএজন্য বেসরকারি বিনিয়োগও প্রভাবিত হচ্ছে নেতিবাচকভাবেএফডিআই আসছে না বললেই চলেএদিকে দেশে ব্যবসারত বিদেশি কোম্পানিগুলো ডলারে মুনাফা নিয়ে যেতে পারছে না
এক ডলার সংকটেই আমরা এত কাবু হয়ে গেলাম যে, সেটা আর ভাষায় বর্ণনা করা যাচ্ছে নাঅর্থপাচার এজন্য কতখানি দায়ী আর কতখানি দায়ী নীতিগত ব্যর্থতা, সে আলোচনাও হচ্ছে এখনক্ষয় হতে হতে নিট রিজার্ভ এ মুহূর্তে যতটুকু, তাতে স্বস্তি বোধ করা যাচ্ছে নারিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা অবশ্য রয়েছে
ব্যাংকে ডলার প্রবাহ বাড়ানোর চেষ্টাওরিজার্ভ স্বস্তিপূর্ণ রাখা দরকার শুধু আমদানি বিল নয়, বিদেশি ঋণ আর দায়দেনা পরিশোধের জন্যওবেসরকারি খাতও বিদেশ থেকে নেয়া ঋণ দ্রুত মিটিয়ে দিতে ডলার চাইছেসুদের হার বেশি বলে তারা আর এসব ঋণ নিতে চাইছে না এখনতবে অর্থসংকটে থাকা সরকার ঋণ চাইছেএমনকি চীন থেকে তার স্থানীয় মুদ্রায় ঋণ নেয়ার আলাপ আছে বাজারে
 স্থানীয় উৎস থেকেও সরকার বন্ড ছেড়ে ঋণ করছে উচ্চসুদেসুদ বাবদ ব্যয়ের বড় একটা খাত থাকে বাজেটেএবারও সেটা থাকছেজিডিপির অনুপাতে ঋণ এখনও বেশি নয়, তবে সরকারের রাজস্ব আহরণ তো কমএটা বাড়াতে গিয়ে আবার এমন আচরণ করা যাবে না, যাতে স্বল্পআয়ের মানুষের ওপর চাপ আরও বাড়েএনবিআরবহির্ভূত রাজস্ব আহরণেও সতর্ক থাকতে হবে, যাতে মূল্যস্ফীতিতে জেরবার মানুষের ওপর গিয়ে না পড়ে চাপটাযেমন, সরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকের ফি যেন না বাড়েসবচেয়ে ভালো হয় সরকার প্রশাসন পরিচালন ব্যয়, বিশেষত এর অপচয় কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেএতটা আশা করা অবশ্য কঠিন
এ নিবন্ধ তৈরির সময় পর্যন্ত খবর হলো, ডিসি ও ইউএনওদের জন্য ২৬১টি দামি জিপ কেনা হবেপ্রথম কথা, ব্যয়টা অপরিহার্য কি নাদ্বিতীয়ত, শক্তপোক্ত জিপ হলেই তো হয়এসইউভিটাইপ জিপই কেন কিনতে হবে? আর ১১৭ টাকা দামের ডলার দিয়েই কিন্তু এগুলো সংগ্রহ করতে হবেআমরা এখন বরং দেখতে চাইব, দেশে ডলার ইনফ্লোবাড়িয়ে এটাকে সহজলভ্য করে টাকার অধিকতর অবমূল্যায়ন রোধে সরকার কী করছেবাজেটে এর দিকনির্দেশনাও দেখতে চাইব

লেখক : কলামিস্ট
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য